Sleep walking or Somnambulism (ঘুমের মধ্যে চলাফেরা
Sleep walking or Somnambulism (ঘুমের মধ্যে চলাফেরা)
ঘুমের মধ্যে চলাফেরা এক রকমের অস্বাভাবিকতা। এটা সাধারনতঃ ছোট বেলায় চার থেকে আট বছরের বয়সে শুরু হয় এবং এর তীব্রতা প্রায় বার বছরের বয়সে হয়। মেয়েদের থেকে ছেলেদের বেশী হয়।
পরিসংখ্যানে দেখা গেছে যে ঘুমের মধ্যে চলাফেরা প্রায়ই হয়। প্রায় পনের শতাংশ শিশুদের মধ্যে কোনো না কোন সময় ঘুমের মধ্যে হাঁটাচলা করে। আর এই অবস্থা আবার অনেকটা পরিবারগত, মানে একই পরিবারের অনেকের হতে পারে।
ঘুমের মধ্যে চলাফেরার উপসর্গগুলি কি কি?
এই অবস্থাটা সাধারনতঃ শুরু হয় রাত্রের ঘুমের প্রথম দিকে। শিশু ঘুমের মধ্যে বিছানা ছেড়ে উঠে ঘরের মধ্যে বা বাড়ির মধ্যে চলাফেরা করে।কেউ কেউ বিছানাতে বসে থাকে, বা হাঁটাচলা করতে পারে,বা জামা কাপড় পরতে পারে, বা বাথরুমে যায়, চিৎকার করতে পারে, নানা কথা বলতে পারে,বাড়ির বাইরে চলে যেতে পারে। এমনকি এমনও কেউ কেউ যারা গাড়ী চালাতে জানে তারা গাড়ী চালিয়েছে ঘুমের মধ্যে।
এই অবস্থাটা ঠিক হয়ে যায় যখনই ঘুম ভেঙ্গে যায় এবং পারিপার্শিক অবস্থার সম্বন্ধে জ্ঞান ফিরে আসে।এটা ঠিক হতে সাধারনতঃ কয়েক মিনিট সময় লাগে।কেউ কেউ আবার ঘুমিয়ে পড়ে। সকালে উঠে রাত্রের অবস্থার ঘটনা কিছুই মনে করতে পারে না।
Shop All-new Kindle Travel Gear
কেউ কেউ ঘুমের মধ্যে কখনও কখনও এমন বে আইনি কাজ করে বসে যে তাতে মামলা মোকদ্দমা পর্য্যন্ত হতে পারে।
ঘুমের মধ্যে চলাফেরার কারন কি?
ঘুমের মধ্যে হাঁটাচলা সাধারনতঃ একই পরিবারের এক জনের বেশী হতে পারে।কিন্তু কি ভাবে এই বংশগত ধারা চলে সেটা সঠিক ভাবে জানা যায় নি।এর কারন হতে পারে কোনো ছোট রকমের স্নায়ুতন্ত্রের গন্ডগোল, অবশ্য সেটাও অজানা। তবে মনে করা হয় শুধু যে সাইকোলজিকাল বা মনঃস্তাত্বিক কারনে হয় তা হয়তো নয়।
খুব বেশি পরিশ্রান্ত অবস্থায় ঘুমের মধ্যে চলাফেরা বেশী হয়।
যদি কেউ না ঘুমায় বা কম ঘুমায় তাহলে বেশী হয়।
আবার যাদের ফিট বা মৃগী(Epilepsy ) আছে তারা ঘুমের মধ্যে ফিট হলে এই রকম চলাফেরা করতে পারে। সেই জন্য সতর্ক থাকতে হবে যে ঘুমের মধ্যে চলাফেরা ও ফিটের মধ্যে যেন তফাৎ করা হয়। কারন এই দুইয়ের চিকিৎসা একদম আলাদা।
কি চিকিৎসা করা হয়?
যদি কোনো শিশুর রাতে ঘুমের মধ্যে চলাফেরা করছে এবং তারা ঘুমের মধ্যে ভয় পেয়ে জেগে যাচ্ছে ও জাগার পরেও পারিপার্শিক অবস্থার সম্বন্ধে জ্ঞান আসতে কিছু সময় লাগছে তাহলে তাকে কোনো নিউরোলজিস্ট বা স্নায়ুরোগ বিশেষজ্ঞের কাছে নিয়ে যাওয়া দরকার। যদি পরীক্ষা নিরিক্ষার পর দেখা যায় যে কোনো মৃগীরোগ নেই তবে আরো কিছু বিশেষ তথ্য সংগ্রহ করা দরকার।
বাড়ির লোকের সাথে কথা বলে জানা দরকার যে বাড়িতে কোনো টেনশন বা সমস্যা আছে কি না? কারন তার জন্য ঘুমের মধ্যে চলাফেরা হতে পারে। সুতরাং সেই ভাবে কথাবলে বা কাউন্সেলিং করে তার সমাধান করা যেতে পারে।
কি ঔষধ ব্যবহার করা হয়ঃ
Ø ডায়াযেপাম(Diazepam ), এটা রাতে ঘুমের আগে দেওয়া হয়। যেহেতু এর অ্যাকশান প্রায় চব্বিশ ঘন্টার মত তাই দিনে একবার দিলেই চলে। এই ঔষধ চলাকালিন গাড়ী চালান, বা কোনো মেশিন নিয়ে কাজ ইত্যাদি করা উচিৎ নয়, কারন তাতে দুর্ঘটনা হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। এই ধরনের ঔষধে আবার অ্যাডিকশন হওয়ার সম্ভাবনা বেশী।
Ø ক্লোনাযেপাম(Clonazepam ), এই ঔষধটাতেও বেশ উপকার হয়। ঘুমাবার সময় দেওয়া হয়। এই ঔষধের প্রতিক্রিয়া সাধারনতঃ আট ঘন্টার জন্য থাকে। এই ওষধ চলাকালিন কারো গাড়ি চালান বা মেশিনের সামনে কাজ করা উচিৎ নয়। আর কারো কারো স্মৃতিশক্তিতে প্রভাব ফেলতে পারে।এইসব ঔষধের অ্যাডিকশন হওয়ার সম্ভাবনা থাকে বেশীদিন ব্যবহার করলে। আর অ্যালকোহল বা অন্য কোনো ঔষধের সাথে নিলে প্রতিক্রিয়া হতে পারে।
Ø ইমিপ্রামিন (Imipramine), এই ঔষধটা সাধারনতঃ দেওয়া হয় ডিপ্রেসন বা বিষন্নতা অবস্থায়। এটাদিয়ে ঘুমের মধ্যে আতঙ্ক ও ঘুমের মধ্যে চলাফেরার চিকিৎসাতেও বিশষ উপকার হয়। নানা রকম পার্শপ্রতিক্রিয়া হয় যেমন, গলা,মুখ শুকনো হয়ে যায়,তার জন্য কথা বলতে অসুবিধা হতে পারে, কোষ্ঠকাঠিন্ন (Constipation ) হয়, দিনের বেলায় ঘুমের ভাব লাগে, মাথা ঝিমঝিম করতে পারে, ইত্যাদি। শিশুদের ক্ষেত্রে এই ঔষধ অনেক কম ডোজে বা কম মাত্রায় দেওয়া উচিৎ।
Ø মৃগী রোগের ঔষধঃ এই ঔষধগুলি দেওয়া হয় যদি কারো মৃগীরোগ থাকে, এবং তার জন্য ঘুমের মধ্যে আতঙ্ক ও ঘুমের মধ্যে চলাফেরা হচ্ছে।মৃগী রোগ ঠিক হয়ে গেলে ঘুমের মধ্যে আতঙ্ক বা চলাফেরাও ঠিক হয়ে যায়। অবশ্য মৃগীরোগের নির্নয়ের জন্য ইইজি’(EEG, Electroencephalogram ) পরীক্ষা করা দরকার।
ঘুমের মধ্যে চলাফেরার জন্য কি সাবধানতা নেওয়া দরকার?
Ø চেস্টা করা উচিৎ যাতে যথেস্ট পরিমানে ঘুম হয়
Ø ঘুমতে যাওয়ার আগে সব রকমের উত্তেজনা জনক পরিস্থিতিকে এড়ানো দরকার
Ø শোবার ঘরে বা কাছাকাছি কোনো ধরনের ধারালো জিনিষ বা ছুরি,কাঁচি ইত্যাদি যেন না থাকে
Ø শিশুদের শোবার ঘরের মেঝে যেন কোনো খেলনা বা জিনিষ না থাকে, তাহলে তাতে ঘুমের মধ্যে চলাফেরার সময় হোঁচোট খাওয়ার সম্ভাবনা থাকে
Ø ঘরের দরজা বা সামনের দরজা যে
No comments